অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান। তিনি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করে ক্যাডেটদের প্রতি সালাম গ্রহণ করেন এবং মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা উপভোগ করেন।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী বিএনসিসি ক্যাডেটসহ সকল শহীদ, আহত ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। এছাড়াও, জুলাই-অগাস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সকল ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগকে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের ক্রান্তিকালে দেশ সেবার মহান ব্রত নিয়ে বিএনসিসি সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ক্যাডেটরা দুর্যোগ মোকাবিলা, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন জাতীয় সংকট ও মানবিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। দেশের ভবিষ্যতের উন্নয়ন শক্তিশালী করতে সুশিক্ষিত, দক্ষ ও আধুনিক চিন্তাধারার তরুণ সমাজ গড়ে তুলতে বিএনসিসিকে আরও যুগোপযোগী করা হচ্ছে।’
একই সঙ্গে সামাজিক ও জাতীয় পর্যায়ে ক্যাডেটদের অগ্রণী ভূমিকার জন্য সকল সদস্যকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।
সমাপনী কুচকাওয়াজে কমান্ডার ঢাকা নৌ অঞ্চল, বিএনসিসি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পাশাপাশি সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও উপস্থিত ছিলেন।







